সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১: নমিতা রায়চৌধুরী-র লেখনীতে
এ মাসের সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয় Bayou Mist Court, Houston এ বসবাসরত রুমকি ও শিবাজী দাশগুপ্তের বাড়িতে ।
সভা সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন রুমকি দাশগুপ্ত। উপস্থিত সকলকে অভিবাদনের মাধ্যমে যথা সময়েই সভা তিনি শুরু করেন।প্রথম দিকে সভ্য/ সভ্যাদের উপস্থিতি কম দেখা গেলেও পরিবর্তীতে সভায় অনেকের উপস্থিতি সেদিনের সাহিত্য সভাকে সমৃদ্ধ করে তুলেছে।
‘ প্রবাস বন্ধু’ সাহিত্য সভায় আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন এ মাসে দু’জন গুনী জন – নিবেদিতা ও সিদ্ধার্থ গাঙ্গুলী।
কাজের কথায় যথারীতি ওয়েবসাইট নিয়ে রবি দে (রবিদা ) কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন। সেই সাথে অন্য শহর থেকে সভ্য / সভ্যারা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা zoom call এর মাধ্যমে সভায় যুক্ত হওয়ার বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বাঙ্গালীর সবচেয়ে বড় পরব দুর্গা পূজো! শারদীয়ার আগমনী বার্তা এখন আকাশে বাতাসে। তুলো তুলো মেঘের ভেসে বেড়ানো , হাল্কা শীতের আমেজ সব মিলিয়ে ভীষণ পূজো পূজো গন্ধ ..
সাহিত্য পাঠের প্রারম্ভেই রুমকি দাসগুপ্ত আসন্ন পূজোকে উপলক্ষ করে ‘মা কি সে আসবেন?’ এই শিরোনামে একটি লেখা পাঠ করেন এবং পরে রবিঠাকুরের ‘ পূজোর সাজ’। পূজোর আমেজে জমে উঠে সভা।
ঠিক তার পরই সিদ্ধার্থ গাঙ্গুলী পাঠ করেন স্বরচিত স্মৃতিচারণ ‘ ওনাদের প্রণাম’। তার বাচনভঙ্গি ও উপস্থাপনায় সভায় উপস্থিত সকলেই মুগ্ধ হয়েছেন এ কথা অনেকটা নিশ্চিত করেই বলা যায় ।
শফিক আহমেদ এক ভিন্ন ধারার লেখনি ‘হাইকু’ নিয়ে একটি তথ্যমূলক রচনা পাঠের মাধ্যমে সভায় হাইকু’র পরিচিতি প্রদান করেন। এবং তার স্বরচিত দশটি হাইকু সভায় উপস্থিত সকলের মন জয় করে। সংক্ষিপ্ত অথচ গভীর ছিল প্রতিটি সৃষ্টি।
হাইকুর পর দিপান্বিতা সরকারের লেখা ‘ঘর-বাড়ি’ কবিতা শফিকদা পাঠ করেন ।
নমিতা রায়চৌধুরী শুনিয়েছেন স্বরচিত দু’ খানি কবিতা।
২৬শে সেপ্টেম্বর ছিল ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন স্বরূপ একটি রচনা পাঠ করেন রুমকি দাশগুপ্ত !প্রতিবারের মত এবারও সভায় সকলকে স্বচ্ছ সাবলীল পাঠের মাধ্যমে আনন্দ দিয়েছেন শ্যামলী মিত্র! স্বপ্নময় রায়ের লেখা রম্যরচনা ‘ আত্মা হইল ব্যাটারী’ ! (সুবোধের নানা যুক্তি তর্কের মাধ্যমে অবশেষে টমেটো সস দিয়েই তার বাবার পিন্ড দানের গল্প ছিল সত্যি অনবদ্য ! )
বিশেষ কিছু বাংলা শব্দের অন্য ভাষায় প্রয়োগ ও জনপ্রিয়তা নিয়ে মৃণালদার সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে সেদিনের সভার সাহিত্য পাঠের পরিসমাপ্তি হয় ।
যথারীতি সভা শেষে আড্ডা ও গল্পগুজব পর্বে জমে উঠে গল্প এবং সেই সাথে রকমারি খাওয়া দাওয়া ।
ভোজনরসিক বাঙালী প্রাণ ভরে স্বাদ নিলাম বেগুন ভাজা , ছোলার ডাল থেকে প্লাস্টিক চাটনি. . .
রসনাকে তৃপ্ত করতে আরও ছিল দহি বড়া , চিকেন পকোড়া , সমোসা সহ আরও বেশ কিছু মুখরোচক খাবার। শেষপাতে ছিল মিষ্টি . . .
আসছে পূজো সবার খুব আনন্দে কাটুক। আবারও দেখা হবে আগামী সভায় ।