মার্চ ২৮, ২০২১: শ্যামলী মিত্র-র লেখনীতে
মার্চ মাসের ২৮ তারিখে আমাদের সাহিত্য সভার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হলো অন্তর্জালের মাধ্যমে। চারপাশে তখন দোলউৎসব পালনের আবাহন। বেশ আড্ডার মেজাজে সভা শুরু হলো। প্রথমে শেলী ভাই একটি স্বরচিত কবিতা পিতা ও কন্যা পাঠ করে আমাদের সবাইকে অভিভূত করে দিলেন। এরপর মৃণাল দা তার স্বভাব সুলভ সরস মনোমুগ্ধকর ভঙ্গীতে আমাদের শোনালেন একটি স্বরচিত গল্প , একটি মুহূর্ত আর না বলা কথা। দেখা গেল শুধু মৃণালদা ই নন, আমাদের অনেকের জীবনেই রয়েছে এরকম না বলা অনেক কথা। এ বিষয়ে আলোচনার অবকাশ আছে।
মার্চ মাসের ২২ তারিখ, বাংলার অগ্নিযুগের বিপ্লবী মাস্টার দা সূর্যসেন এর জন্মদিন গেলো সেই স্মরণে বিশ্বরুচী পাঠ করলো মাস্টার দা কে নিয়ে একটি স্বরচিত প্রতিবেদন , একজন অগ্নি পুরুষের কাহিনী। কিছু অজানা তথ্য উঠে এলো লেখায় , বিশেষ করে সূর্য সেন কে ধরিয়ে দিয়ে ছিলেন যিনি নেত্র সেন ও তার অজানা হত্যাকারীর কথা। এরপর সফিক আহমেদ পড়ে শোনান তার লেখা একটি গা ছমছম ভূতের গল্প অযৌক্তিক। অত্যন্ত সুললিত কণ্ঠে তার গল্প শুনতে শুনতে দিন দুপুরে ও যে গা শিউরে উঠছিল না তা হলফ করে বলা যায় না। মনীষা রায় একজন প্রতিষ্ঠিত লেখিকা। সেদিন আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন আমাদের সভায়। ওনা কে আমাদের মধ্যে পেয়ে আমরা নিজেরাই সম্মানিত হলাম। উনি শোনালেন একটি গল্প প্রত্যাগমন। আমরা প্রবাসী রা নিজের নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে গল্পটির সাথে খুব একাত্মতা বোধ করলাম। এরপর আমি শ্যামলী , লীলা মজুমদার এর ‘সব ভূতুড়ে’ থেকে একটি গল্প শোনালাম। লীলা মজুমদার এর ভূতরা তো সবাই উপকারী ভূত। তাই গল্পটি বেশ উপভোগ করলেন সবাই। যেই কবির কবিতার লাইন কলেজ লাইফে আমাদের মুখে মুখে ফিরতো সেই শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর কয়েকটি কবিতা পাঠ করে সুমিতাদি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন । অসাধারণ লাগলো সবার কাছে। একদম শেষে অচিন্ত্যর একটি সুন্দর সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সভার পরিসমাপ্তি হলো। তারপর আরও কিছু সময় আড্ডা ও গল্পগুজব করা হলো সভা শেষে। আজ এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে সবার সাথে পরবর্তী অধিবেশনে।