সৈয়দ মুজতবা আলির জন্ম (১৯০৪-১৯৭৪) শ্রীহট্ট জেলার করিমগঞ্জে ১৯০৪ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর । রবীন্দ্রনাথের প্রতি টানেই পরে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীতে গিয়ে পড়াশোনা করেন। বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর বড় প্রাণের টান – তাই ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্থান আমলে ভাষা আন্দোলনেও তিনি ছিলেন এক সরব কন্ঠ। কাবুলে গিয়েছিলেন শিক্ষা বিভাগে কাজ করার উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে যান জার্মানিতে। প্রথমে বার্লিন, পরে বন। পি এইচ ডি করেন ‘বন বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে। মাতৃভাষা বাংলা হলেও সৈয়দ মুজতবা আলি বহু ভাষায় পন্ডিত ছিলেন, যেমন আরবি, ফারসি, উর্দু, হিন্দি, সংস্কৃত, মারাঠী, পুস্ত, গুজরাটি, ফরাসী, জার্মান, ইংরেজী এবং আরো কয়েকটি। আলির লেখার জাদু তাঁর কৌতুকপূর্ণ, বিদগ্ধ এবং তির্যক লেখার ভঙ্গি। ‘রম্যরচনা’ই ছিল তাঁর বৈশিষ্ট্য। তাঁর লেখার ‘Witty’ এবং ‘intellectual’ ধাঁচটি, তাঁকে স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে বাংলা সাহিত্যে। ‘দেশে বিদেশে’, ‘চাচাকাহিনী’, ‘ধূপছায়া’, ‘ময়ূরকন্ঠী’ ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বহু ভাষাবিদ এই জ্ঞানী মানুষটি প্রবন্ধ, রম্যরচনা, উপন্যাস ও ভ্রমণকহিনী রচনায় একাধারে সিদ্ধহস্ত ছিলেন।
তাঁর লেখা অসাধারণ গল্প ‘পুনশ্চ’ টি অনূদিত হয়ে (Deja Vu) বইটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, Treasures from Bengal: An Anthology of Selected Bengali Short Stories, যা আমাজনে পাওয়া যাচ্ছে।
**এই উপলক্ষ্যে ব্যবহৃত ছবি ও তথ্যগুলি ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইট থেকে সংগৃহীত৷ শুধুমাত্র লেখকের রচনার সঙ্গে পাঠকের পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য, কোনও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয় ৷**