ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯ – মালবিকা ও দিলীপ চ্যাটার্জীর বাসগৃহে
পাঠচক্রের বন্ধুরা,
সকলকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের বাড়িতে ডিসেম্বরের সাহিত্য সভায় যোগদান করার জন্য । অসিতদার উপস্থিতি আমাদের সকলের কাছে একটা বিশেষ উপহার ছিল সেদিন । সভায় কমলপ্ৰিয়ার উপস্থিত থাকাটাও ছিল খুব আনন্দের । শ্রী কাজল রায়কে আমরা নতুন সদস্য হিসেবে পেয়েছি । অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তড়িৎদা ।
অসিতদার পরিচালনায় সভা সুষ্ঠুভাবে অতিবাহিত হয়েছে । অসিতদা পাঠ করেছিলেন কিছু রচনা যা আমরা জানতাম না যে সেই লেখকরা এমন ধরনের রচনা করেন বলে, সেজন্য সেখানে ছিল অভিনবত্ব । কমলপ্রিয়ার হিউস্টনে অনুপস্থিত থাকার একটা বিশেষ ছবি ফুটে উঠেছিল তার স্বরচিত কবিতায় । আরো কিছু সুন্দর স্বরচিত রচনা পাঠ করেছিলেন শ্রাবণী, সফিক, রুমকি, মৃণালদা ।
সুমিতার রচনায় কচ ও দেবযানীর পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত এক প্রেমালেখ্য পাঠ করলাম আমরা কয়েকজন মিলে (সুমিতা, রুমা, চন্দ্রা, কমলপ্ৰিয়া ও আমি)। সেই সূত্র ধরে “বিদায় অভিশাপ” কবিতার খানিকটা অংশ পাঠ করল শ্যামলী ও বিশ্বরুচি ।
উদ্দালক হঠাৎ সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সেদিনের সভায় যোগ দিতে পারল না, কিন্তু তার “ফিরে দেখা” সংকলনটি ফিরে দেখার আনন্দ দিতে পেরেছিল সকলকে । একটি পুরনো ‘প্রবাস বন্ধু’ পত্রিকার কিছু কবিতা সেখানে পাঠ করা হ’ল (রবি, সুরূপা, শ্রাবণী, সফিক ও আমি)। উদ্দালকের অনুপস্থিতিতে শ্রাবণী “ফিরে দেখা” পরিচালনার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করেছিল ।
সব শেষে ছিল খুব মজার একটা খেলা । সুমিতার নির্দেশনা ও পরিচালনায় তৈরী হয়েছিল এই খেলা । সুমিতা কয়েকটি ছোট ছোট গল্পের মুখড়া তৈরী করে দিয়েছিল, তারপর ছোট ছোট দলের এক একটা গল্প আরো একটু বিশ্লেষণ করে শেষ করার দায়িত্ব ছিল । এই খেলাটিও জমেছিল খুব । এই খেলায় যোগদান করেছিল সভায় উপস্থিত সকলেই ।
এই সভায় আরও একটি নতুন প্রথার চল শুরু করার ইচ্ছা ছিল – সেটি হ’ল বই বদলা-বদলি । সকলের বাড়িতেই অনেক বই থাকে; কয়েকবার সেগুলি পড়ার পর সেগুলি নিয়ে কী করা হবে, সে এক বিরাট সমস্যা! জায়গার অভাব দেখা দিতে থাকে, অতএব যারা উৎসাহী তারা তাদের বই অন্য পাঠকদের সঙ্গে অদলবদল করে ভাগ করে পড়ার আনন্দ পেতে পারেন । এর পর থেকে প্রতি সভাতেই বা সুবিধেমতো এই প্রথা চলতে পারে ।
এই হ’ল পুরো সভার বিবৃতি । অনিচ্ছাকৃতভাবে কারোর কথা যদি বাদ পড়ে যায় তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।এবার – যা আমি সব সময় বলি সেই প্রসঙ্গে যাই ।
নববর্ষ সংখ্যায় লেখা চাই । লেখা প্রস্তুত থাকলে পাঠিয়ে দিন । তাড়াতাড়ি লেখা হাতে পেলে কাজের সুবিধে হয় এবং ভুলভ্রান্তি হবার সুযোগ কম থাকে । সবাই শেষ মুহূর্তে লেখা জমা দিলে প্রিন্ট করতে দেবার তাড়া থাকে, তাতে করে সম্পাদনার কাজ সুসম্পন্ন করতে অসুবিধা হয় । অনুরোধ করি, আপনারা সময়মতো লেখা শেষ করে পাঠিয়ে দিন । বছরের যে কোনও সময় যে কোনও সংখ্যার লেখা জমা দেওয়া যায়; জমা দেবার শেষ তারিখের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না ।
ইংরেজি নতুন বছরের জন্য প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই ।
মালবিকা চ্যাটার্জী